রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ভারতে চিকিৎসা সেবায় সুযোগ সুবিধা প্রদানে যৌথ সভা  অবৈধভাবে চাল মজুদ রাখার অভিযােগে আবারো মিল মালিককে জরিমানা উন্নত মানের কম্বল পেয়ে খুশি দরিদ্র মানুষেরা এক হাজার দরিদ্র মানুষকে শীতবস্ত্র প্রদান করলেন বিজিএমিইএ’র সভাপতি প্রশাসনে বদলীর নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ের চার ওসি, দুই ইউএনও জনপ্রিয় নেতা আলী আসলাম জুয়েলকে নৌকার মাঝি হিসেবে পেতে মড়িয়া ভোটাররা তারেক পাকিস্তান থেকে লোক পাঠিয়ে নৈরাজ্য চালাচ্ছে শান্তি সমাবেশে -যুবলীগ নেতা জুয়েল ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্পেইন টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ সাংবাদিক আইনুলের লজ্জা থাকলে আ’লীগে যোগ দিন বিএনপির উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা-আলী আসলাম জুয়েল

ডেঙ্গু সমস্যা আবার সম্ভাবনারও দ্বারপ্রান্তে -অ্যাডভোকেট আবু মহী উদ্দীন

দেশে মাঝে মাঝেই একটি করে বার্নিং ইসূ তৈরি হয়। এখনকার বার্নিং ইসু আবরার হত্যাকান্ড। কয়েককদিন আগে ছিল ডেঙ্গু। ভয়াবহতা কমার জন্য ডেঙ্গু এখন মূল আলোচনায় নাই। তবে আশংকা আছে। ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতন করতে মিডিয়াগুলো যেমন দায়িত্ব পালন করেছে , ডেঙ্গু সম্পর্কে দেশের মানুষকে যেমনি অবহিত করেছে তেমনি আতংক সৃষ্টি করতেও কম ভুমিকা পালন করেনি। ডেঙ্গু সমস্যা বহুল আলোচিত । ডেঙ্গু প্রতিবছরই হয়। বর্ষাকালে এর প্রকোপ বাড়ে। যারা বিশেষজ্ঞ তারাও প্রাজ্ঞোজনোচিত মন্তব্য করাতে সমস্যা হয়েছে। আবার যাদের সতর্কভাবে কথা বলার দরকার তারা বেফাঁস কথা বলেছেন। সিটি কর্পোরেশনের মশা মারার লোক আছে। ঔষধ কেনার লোক আছে তাদেরকে কেউ কিছু বলেনি। বলেছে মেয়র মহোদয়কে। মেয়র সাহেব নিজে কোনটাই করেননা তার কাজও নয়। যদিও ঝাড়– নিয়ে বা ফগার মেসিন নিয়ে টিভিতে পোজ দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে কাজ করতে উৎসাহ জোগানোর চেষ্টা করেছেন। বাণী দিয়েছেন আন্দাজ নির্ভর কিছু কথা বলেছেন। যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এজন্য কথা না বলা বা কম বলাই নিরাপদ ছিল। কথার সমস্যা হচ্ছে একবার বেরিয়ে গেলে আর ফেরানো যায়না। যাদের কাজ তারা যত ফাঁকিই দিকনা কেন শেষ বিচারে মেয়রকে জবাবদিহী করতে হচ্ছে। সারা দেশের মানুষ যখন চাপাচাপি শুরু করলো তখন সিটি কর্পোরেশন নড়েচড়ে বসেছে , কাজ করেছে , বিদেশ থেকে মতামত দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ এনেছে। এই কাজগুলো আগে থেকে বা সময় মতো করলে বা রুটিন ওয়ার্ক করলে মুল্যবান প্রানগুলো বেঁচে যেতো। এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগগুলো যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে বলে মনে করার কোন কারণ নাই। তবে সরকারের প্রকৃত দায়িত্ব পালন করা হবে এবং দেশের মানুষ খুব বেশি খুশী হবে ,সরকারের উপর আস্থা রাখবে , যদি যারা যে দায়িত্ব পালন করেনি , দায়িত্বে অবহেলার কারণে সল্পতম সময়ে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেওয়া হয়। সরকারের কঠোরতা এবং আহবানে ২/৪ জন অর্থ্যাৎ পরীক্ষা কিটসের দাম এবং পরীক্ষা ফি বেশী নেওয়ার চেষ্টা করলে তা পানি পায়নি। সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা ফি নিয়ে হাহাকার হয়নি ডিজিটালাইজড বলে। মিডিয়ার কল্যাণে আতংক বলি আর সচেনতাই বলি লক্ষন দেখা দিতে না দিতে হাসপাতালের ফ্রি পরীক্ষা । বেসরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত মূল্যে পরীক্ষা। তবে একটা বিষয়ে খোলামেলা হওয়া দরকার তা হলো মৃত্যুর বিষয়ে সরকারি আর বেসরকারি হিসাবের তারতম্য এত বড় কেন এই হিসাবটা একই হওয়া দরকার। এখানে সমন্বয় নাই।
সরকারের অনুরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তার নার্স টেকনোলজিষ্টরা দারুন দায়িত্ব পালন করেছে। এই দুর্যোগকালীন তারা যেভাবে সেবা দিয়েছে এবং সরকারী স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে । দিনরাত ডিউটি করেছে, সকল উৎসব বাদ দিয়ে তারা রোগীর সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর আচরন, কথাবার্তা খুবই অসহনীয় ছিল। বিদেশ যাওয়া নিয়ে লুকোচুরি করা মাঝে মাঝে বাচালের মতো কথা বলা মানুষ পছন্দ করেনি। তবে ডাক্তারদের সেবা মানুষ এপ্রিসিয়েট করেছে।
সারা দেশে বিভিন্ন রোগে মানুষ মারা যাচ্ছে। তবে ডেঙ্গু হেডলাইন বানিয়েছে। এটা আতংকেরও কারণ হয়েছে। তবে কাজ একটা হয়েছে , তা হলো বাংলাদেশে এমন কোন লোক নাই যে ডেঙ্গু শব্দটির সাথে পরিচিত নয়। আবার মশা কামড়ালে ডেঙ্গু জ্বর হয় , এটাও মানুষ জানে। ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা সকালে সন্ধায় কামড়ায় এটাও জেনে গেছে। এই মাছি কিভাবে বংশ বিস্তার করে তাও জেনেছে। আবার কি করলে ডেঙ্গু থেকে বাঁচা যাবে তাও জেনেছে। এটাই আমাদের বড় অর্জন বলে ধারনা করা যেতে পারে। তা হলো সরকারিভাবে এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আহবান জানিয়েছেন বাড়ীঘরের আশে পাশে পরিস্কার রাখার জন্য। মন্ত্রনালয়গুলি অধস্তন অফিসকে নির্দেশ দিয়েছে নিজ নিজ অফিস চত্তর পরিস্কার করতে। তবে কাজটা সবাই করেছে এমন নয়। মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অধস্তনরা না মানার সাহস দেখিয়েছে। বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। জেলায় জেলায় জেলা প্রশাসকগণ সেমিনার করেছেন , আহবান জানিয়েছেন , নিজেরা উৎসাহ দেওয়ার জন্য কচু কেটে জায়গা পরিস্কার করার কাজে লেগেছেন। তাতেও যে কাজের কাজ খুব বেশী হয়েছে এমন বলা যাবেনা। । নাগরিকরাও অনেকে নিজের বাড়ী নিজে পরিস্কার করেছে। কেউ আবার মনেই করেনি যে তার কোন দায় আছে। অনেকে নিজের বাড়ীর পরিবেশ নিয়ে বেশ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে।
এবারে আমাদের সম্ভাবনার কথা বলি। আমরা বিদেশে যাই বিভিন্ন কাজে। ফিরে এসে সেসব দেশের খুব সুনাম করি , তারা খুবই সভ্য, রাস্তায় থুথু ফেলেনো। কাগজ বা ময়লা ফেলেনা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কিন্তু নিজের দেশে ? আমরা এখন ইচ্ছা করলেই কাজটার অনুশীলন করতে পারি।।

পাকিস্তানের স্বৈর শাসক আয়ুব খাঁন মার্শাল ল জারি করেছিল। স্বৈর শাসক এবং মার্শাল ল কখনোই ভাল নয় একথা সর্বজন স্বীকৃত। কেউ পছন্দ করুক আর না করুক দেশে দেশে সামরিক আইন জারী হয়। প্রথম দিকে কিছু চমক সৃষ্টি করে। এর পরে শুরু হয় আসল কাজ। সবাই আকন্ঠ দূর্ণীতিতে জড়িয়ে পরে ,আন্দোলন সংগ্রাম করে আবার তাদের বিদায় করতে হয়। পৃথিবীর কোন দেশেই সামরিক আইন ভালো করতে পারেনি। তবে আইউব খানের ১ টি পদক্ষেপ ভালো ছিল। সেটা হলো মার্শাল ল জারি করেই তিনি কিছু ফরমান জারী করলেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো বাড়ী ঘর পরিস্কার করতে হবে আর গোবর খোলা জয়গায় রাখা যাবেনা এবং উপরে ছাউনি দিতে হবে। মোটামুটি ভাবে দিন সাতেকের মধ্যে কাজটা হয়ে গেল। আয়ুব খাঁন ১০ বছর শাসন করেছে , উন্নয়ন দশক করেছে , মৌলিক গণতন্ত্র করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কিনে নিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছে। তবে বাড়ীঘর বা গোবরের পালা পরিস্কার থাকেনি বা এসবের খোজ নেওয়ার সময় তাদের ছিলনা। ‘অবাধ্য’ বাঙ্গালীদের আন্দোলন সংগ্রাম থামাতে ব্যস্ততার কারণে এসব বিষয়ে খেয়াল রাখার সুযোগ হয়নি।
ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেছে। এই ডেঙ্গু নিয়ে কি রকম তুলকালাম কান্ড ঘটে গেল। তার কারণ হলো সময় মতো দরকারী কাজটি করা হয়নি, যাদের যে কাজ করার কথা তারা তা করেনি।
ডেঙ্গু নিয়ে ঢাকা সিটি কর্পোারেশনের জনসচেতনতা কর্মসুচি থাকলেও তার সাথে পাল্লা দিয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সরকারের নীতি নির্ধারকরা অন্যান্য বিষয়ের মতো প্রথম দিকে পাত্তাই দিতে চাননি। রাজনীতিতে যেমন একে অপরকে দোষ দেওয়ার যে চর্চা আছে এখানেও তা প্রকট হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের একজন কর্মকর্তা আদালতে বলেছেন , ডেঙ্গু রোগ সাধারণ পর্যায়ে থাকলে সেটি তারা নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। কিন্তু মহামারী আকারে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে তা মোকাবেলা করতে হবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বলেছে মশা মারা তাদের কাজ নয় । রোগীর চিকিৎসা ও সেবা দেওয়া তাদের দায়িত্ব। মশা মারতে কামান দাগাতে হয়েছে। হাইকোর্টে যেতে হয়েছে।
মশা মারার জন্যও কি হাইকোর্টের আদেশ লাগবে ? প্রশ্নটি আম জনতার। খোদ বিচারালয়ও এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। গত ২২ জুলাই/১৯ মামলার শুনানীতে একজন বিচারপতি বলেন ‘পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে হাইকোট মশা মারার জন্য রুল দেননা। এটা আমাদের বাধ্য হয়েই দিতে হয়’। আবার ৩ দিন পর ২৫ জুলাই এক শুনানিতে হাইকোট বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন ‘ রাষ্ট্রের এত মেসিনারি থাকতে এডিস মশা কি দুর করা যাবেনা? মূলত সামাজিক বিভিন্ন ইসু জনস্বার্থে আসায় একদিকে উচ্চ আদালতকে তা দেখতে হচ্ছে , অন্যদিকে সরকার প্রধানের নির্দেশের অপেক্ষা করেন সংশ্লিষ্ট ‘দ্বায়িত্ববানেরা’। এ পেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে , রাস্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ কাজ ঠিকমতো পালন করছে কিনা ? সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত প্রশ্ন হচ্ছে , সব নির্দেশ কেন প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হচ্ছে। যে কোন বড় ঘটনার পর দুস্কৃতিকারীকে ধরা , বিভিন্ন প্রকার প্রকল্প দ্রæত শেষ করা , প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে মামলা না করা , জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের কর্মকর্তার বদলি স্থগিত , ধান চাল কেনা এবং রাষায়নিকের গুদাম সরানো থেকে শুরু করে যেসব কাজ মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের করার কথা , সেখানেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনিবার্য হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চও একই প্রশ্ন রেখে বলেছেন , কী বলব , প্রধানমন্ত্রীকে যদি সব কিছুতে হস্তক্ষেপ করতে হয় , তাহলে সচিবেরা কেন আছেন? গত জুনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের বিতর্কিত বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী তখন বিদেশে অবস্থান করেও এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে বদলির আদেশ বাতিল হয়। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ গত ১৮ জুন /১৯ এক মামলার শুনানিতে এবিষয়ে প্রশ্ন রাখেন ‘সবকিছুতে প্রধানমন্ত্রীর কেন ডিরেকশন (নির্দেশনা) দিতে হবে। সাম্প্রতিক মশা মারা থেকে বিগত মাসগুলোয় সড়ক দুর্ঘটনা , মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ , দুধের মান , ধর্ষন , মানবাধিকার , লংঘন সহ বিভিন্ন ঘটনায় হাইকোর্টে রিট আবেদন ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের স্বত:প্রণোদিত হয়ে আমলে নেওয়ার বিষয়গুলো আলোচনায় আসছে। আর সে কথা হাইকোর্টের বেঞ্চের বক্তব্যেও আসছে ঘুরেফিরে।
ডেঙ্গুকে উপলক্ষ করে আমরা যা করতে পারি তা হলো
ক) মন্ত্রণালয়গুলো নির্দেশ দিবে তার অধস্তন সকল অফিস চত্বর একেবারে ঝকঝকে তকতকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করবে। এই পরিস্কার সারা বছর থাকবে। অফিসে আসা কোন সেবাপ্রার্থী যাতে কোথাও কোন ময়লা বা কাগজ না ফেলতে পারে তার জন্য নজরদারী করা এবং প্রতিটি অফিসে ময়লা ফেলার ঝুড়ি রাখা। অনেক অফিসে আছে তবে তা কর্তার রুমে। ২/১ টা ঝুড়ি বাইরেও রাখতে হবে এবং সেবা প্রার্থীরা আসলে তাদেরকে অভ্যাস করাতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের নিজ নিজ এলাকায় বিষয়টি মনিটরিং করবে।
খ) ইউনিয়ন পরিষদ এবং কাউন্সিলার/ মেম্বার গণ বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকার অধিবাসীকে উদ্বুদ্ধ করে বাড়ীর মালিকদের দ্বারা ঘরবাড়ী পরিস্কারের ব্যবস্থা নিবে।
গ) শহরের মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন কোন জায়গা যেমন কোন মালিক বাইরে থাকে তিনি নিজ দায়িত্বে তার মালিকানাধীণ জায়গা পরিষ্কার করবেন।
ঘ) পৌর এলাকায় রাস্তাঘাট, ড্রেন , এসব জায়গা পরিস্কার করবে পৌরকর্তৃপক্ষ , যেটা পৌরসভা করে থাকে আর আমরা ‘দায়িত্বশীল সভ্য নাগরিকরা ’ ময়লা ফেলে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজটা বাড়য়ে দিই এবং পৌর কর্তৃপক্ষ বা ইউপি কর্তৃপক্ষের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করি তাদের ‘অদক্ষতার’ জন্য।
ঙ) শিক্ষা মন্ত্রনালয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যে কোন মুল্যে পরিষ্কার রাখার বিষয় নিশ্চিত করবে। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে পরিস্কার করেছে , ছবি তুলেছে , কেউ কেউ আবার ব্যানার লাগিয়েছে। এই বিষয়টা সারা বছরের জন্য নিশ্চিত করতে হবে এই কারণে যে , আমাদের ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে একই সঙ্গে নিজ এলাকা পরিস্কার রাখার অনুশীলন হবে। এই অনুশীলনই পরবর্তী কালে তাকে দেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতন করবে। তবে স্কুলের বাথরুম গুলিল প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া জরুরী।
চ) এর পরেও কোন জায়গা থাকলে তা ১০০ দিনের কর্মসুচি , মাটি কাটা , টি আর , কাবিখা , কাবিটা এই সমস্ত নষ্ট খাতে টাকা খরচের পাশাটপাশি এদিকে একটু নজর দিলে দেশটাই পরিস্কার হয়ে যাবে।
ছ) এই কাজটা সারা দেশে একটা সপ্তাহ ধরে চলবে। প্রশাসক , জনপ্রতিনিধি , স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সবাই মিলে কাজটি করবে। মোদ্দা কথা নাগরিকরা তাদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করবে মাত্র। তাহলেই দেশটা অনেক কিছু থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।
জ) উপরের কাজগুলো শুরুতে অনুরোধ উৎসাহ , মোটিভেশন, আহবান ওয়াজ, নসিহত করে করতে হবে। এর পর কাজ না হলো মোবাইল কোর্ট হবে। মোবাইল কোর্টে ১০/২০ টাকা জরিমানা করতে হবে।
ঝ) যারা ভালো কাজ করবে তাদেরকে স্বীকৃতি দিতে ১০/২০ টাকার প্রনোদনা দেওয়াও যেতে পারে কমপক্ষে তাদের সুনাম করা , যাতে সুনামের কাঙ্গালরাও কাজে লাগতে পারে। যারা পোষ্টার ব্যার লাগিয়ে মানুষকে শুভেচ্ছা জানায় তারা বরং এসব কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করার সুযোগ পাবে।
ভেবে দেখুন সারা বাংলাদেশটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটা দেশ। কোথাও ময়লা আবর্জনা বা বাজে জঙ্গল নেই , মশা বাস করার জায়গা নেই , মশা বাস করার জায়গা নেই তো ডেঙ্গু , ম্যালেরিয়া , চিকনগুনিয়া কিছুই নেই। নেই অকালে মানুষের মৃত্যু, নাই চিকিৎসা খরচ। নাই উৎকণ্ঠা। বিদেশ থেকে ঔষধ আনার প্রয়োজন নেই , কোলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ আনতে হবেনা , অকার্যকর ঔষধ কেনার প্রয়োজন নাই , কেনাকাটা নাইতো দূনীতির সুযোগ নাই। ডাক্তার সাহেবদের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার প্রয়োজন নাই , স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে গেলে কোন সমস্যা নাই। মেয়র সাহেবদের টিভিতে বাণী কিংবা ফগার মেসিন দিয়ে পোজ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হবেনা , কর্মচারী নিয়োগ করে বসে রাখার প্রয়োজন হবেনা। গরীব মানুষের দেওয়া করের টাকার সদব্যাবহার , কর্মচারীদের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি , টকশোজীবিরা গঠনমুলক আলোচনার সুযোগ পাবে , সরকার একটি স্থিতিশীল অবস্থা পাবে , আর স্থিতিশীল অবস্থা মানেই দেশের নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন। গড়ে উঠবে স্বাস্থ্যবান ও অধিক কর্মক্ষম জাতি, ভেবে দেখুন কত উপকার।
আমরাতো কাজটা আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলা থেকেই শুরু করতে পারি। আমরাই পাইওনিয়ার হতে পারি।

Please Share This Post in Your Social Media

© News Net 24 BD All rights reserved 2019
Design & Developed BY Hostitbd.Com